নাসার গ্যালাক্সি ইভোলিউশন এক্সপ্লোরার উপগ্রহ দিয়ে বর্তমানে জ্যোতিঃবিজ্ঞানীরা নিকটবর্তী,ঝাপ্সা নক্ষত্র বা তারা সনাক্ত করার নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করছেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের সৌর জগতের বাইরে অবস্থিত গ্রহ খুঁজে বের করা সুবিধাজনক হবে।
জ্বলজ্বলে তারার জন্য দূরের পৃথিবী খোঁজা কষ্টকর,এবং অনেকটাই অসম্ভব। যার জন্য এ যাবৎকালে মাত্র অল্প কিছু দূরস্থ গ্রহের ছবি তুলে উপস্থিতি নির্ণয় সম্ভব হয়েছে। ছোট,সদ্য জন্ম নেয়া তারাগুলো কম উজ্জ্বল,তাই এদের উপস্থিতিতে দূরের গ্রহ দেখা যায়। কিন্তু এসব ছোট তারা অধিক পরিমাণ অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণ করে।
গ্যালাক্সি ইভোলিউশন এক্সপ্লরার উপগ্রহ এমনভাবে বানানো হয়েছে যে,তা পৃথিবীর কাছে অবস্থিত ছোট তারা থেকে বিকিরিত অতিবেগুনী রশ্মি সনাক্ত করতে পারে। এসব ছোট তারাকেই পরবর্তীতে সৌর জগতের বাইরে গ্রহ খোঁজার জন্য লক্ষবস্তু হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
প্রাপ্তবয়ষ্ক তারার চেয়ে ছোট তারা থেকে অধিক পরিমাণ শক্তিশালী রঞ্জন-রশ্মি ও অতিবেগুনী রশ্মি উদ্গীরণ হয়। অনেক ক্ষেত্রে এসব ছোট তারা গোলমাল সৃষ্টি করে,ফলে তাদেরকে সহজেই সনাক্ত করা যায়। আবার,কিছু অতিক্ষুদ্র ও নিঃশব্দ তারা আছে,যাদেরকে শুধুমাত্র রঞ্জক রশ্মি দিয়েই সনাক্ত করা যায়।
ইতোমধ্যে গ্যালাক্সি ইভোলিউশন এক্সপ্লোরার উপগ্রহটি অতিবেগুনী রশ্মি দিয়ে আকাশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ স্ক্যান করে ফেলেছে । দূরবীক্ষণযন্ত্র থেকে প্রাপ্ত পাঠকে আলোক ও অবলোহিত তথ্যের সাহায্যে বিশ্লেষণ করে গবেষকরা ১৭টি কমবয়সী তথা তরুণ তারার উপস্থিতি নির্ণয় করেছেন। এসব কম ভরের তারাদেরকে বিজ্ঞানীরা “রেড ডোয়ারফ” নামে অভিহিত করেছেন। তথ্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে,এরা প্রায় ১০০ মিলিওন বছর থেকে এরূপ তারুণ্যে আছে।
নানাভাবে এই তারাগুলো বহিঃগ্রহ অনুসন্ধানে সহায়তা করে। তাদের তারুণ্য এই প্রমাণ করে যে,তাদের আশেপাশে উষ্ণ ও অধিক উজ্জ্বল নব-গঠিত গ্রহ আছে;যেখানে হয়ত অদূর ভবিষতে বসবাস করা সম্ভব হতে পারে।

No comments:
Post a Comment